১.শিরোনামঃ সিলেট, সিলেট বিভাগ
(চা ও পাহাড়)
২.ঐতিহাসিক বর্ননাঃ
দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ, সুরমা নদীর তীরবর্তী শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এ শহরটি দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত। সিলেট অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ। দেশের সিংহভাগ প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণ করে থাকে। শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক ভাবে সিলেট দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ধনী জেলা। জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ, বিছনাকান্দির স্বচ্ছ জলরাশি পর্যটকদের টেনে আনে বার বার। শাহ জালাল ও শাহ পরানের মাজার শরীফ এ জেলায় অবস্থিত।
৩.কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকার গাবতলী/মহাখালী থেকে সিলেটগামী যেকোন বাসে চলে আসতে পারেন (হানিফ, শ্যামলী, এনা, সৌদিয়া, সোহাগ, গ্রীনলাইন)। ননএসি-৩৫০-৪৭০০টাকা, এসি-৯০০-১১০০টাকা।
কমলাপুর/বিমানবন্দর ষ্টেশন থেকে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, কালনি এক্সপ্রেসে
রওনা হয়ে সিলেট ষ্টেশনে আসতে পারবেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওসমানী বিমানবন্দরে নেমে সিলেট যেতে পারবেন।(বাংলাদেশ বিমান, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, জিএমজি এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এবং নভোএয়ার)
৪.দর্শনীয় স্হানঃ
হযরত শাহজালালের দরগাহ, শাহ পরাণের মাজার, ক্বীন ব্রীজ, আলী আমজদের ঘড়ি, মালনি ছড়া চা বাগান, টিলাগড় ইকোপার্ক, জাফলং, পান্থমাই ঝর্না, রাতারগুল, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, তামাবিল স্থলবন্দর
৫.কোথায় থাকবেনঃ
রোজভিউ, হোটেল হিলটন, হোটেল ডালাস, বটম হিল প্যালেস হোটেল
৬.কোথায় খাবেনঃ
পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট, পানসী রেস্টুরেন্ট, ভোজনবাড়ি
৭.বিখ্যাত খাবার ও সবজি/শস্যঃ
*খাবারঃ চা, কমলালেবু, সাতকরা, আনারস
*সবজি/শস্যঃ ভুট্টা, লেবু, কলা, পান, সুপারি, আউশ ধান
৮.বিখ্যাত ব্যক্তিত্বঃ
শাহজালাল
শাহপরান
তারাকিশোর চৌধুরী-কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি
সন্তদাস কাঠিয়াবাবা-বাংলা প্রথম নিম্বার্ক মহন্ত
সৈয়দ মুজতবা আলী-সাহিত্যিক
৯.আশেপাশে দর্শনীয়স্হানঃ
শ্রীমঙ্গল চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মৌলভীবাজার