পটুয়াখালীর মহিষের দইঃ
পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা এবং বরিশাল অঞ্চলের মানুষের কাছে আবহমান কাল থেকে মহিষের দই সমান জনপ্রিয় হয়ে আছে। ছেলে বুড়ো সবার কাছেই রয়েছে এর সমান কদর। মোটা চালের ভাপ ওঠা গরম ভাত। সঙ্গে খেজুরের গুড় আর মহিষের দই। তুলনাহীন খাবার। এখনও চরাঞ্চলের বহু পরিবার পান্তা ভাতেও মহিষের দই খায়। চিড়া মুড়ি খেজুরের সঙ্গে মহিষের দই সকালের নাস্তা হিসেবেও উপাদেয় খাবার।
দুধ চুলায় জ্বাল দিয়ে ঠা-া করে যেমন দই পাতা যায়। আবার একেবারে কাঁচা দুধ দিয়েও দই পাতা হয়। তবে চুলায় জ্বাল দেয়া দইয়ের তুলনায় কাঁচা দইয়ের স্বাদ বেশি। বেশ টক টক লাগে। চব্বিশ ঘণ্টাতেই দুধ জমে ঘন দই হয়। দইয়ের ওপরে জমে ওঠে ননি বা মাখনের পুরো আস্তর। ননি দিয়ে তৈরি হয় ঘি। গরুর দুধের চেয়ে মহিষের দইয়ে অনেক ননি।
দক্ষিণ উপকূলের মানুষের খাবারের তালিকায় শীর্ষ স্থানটি আজও দখল করে আছে মহিষের দই। দক্ষিণের বিশেষ করে চর-দ্বীপাঞ্চলের মহিষের দইয়ের পরিচিতি এখন আঞ্চলিকতার গন্ডি ছাড়িয়ে গেছে।